মোঘল শাসকদের আমলে এক বাদশাহ্ ছিল খুব বদ মেজাজী। এক রাতে সে স্বপ্নে দেখল তার সব গুলো দাঁত পড়ে গেছে। সকালে ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে সে তার রাজ্যের সব জ্ঞানী, বিদ্যান ও গনক-স্বপ্নের ব্যখ্যাকারীদেরকে একত্রিত করল। প্রথমে একজনকে ডেকে তার রাতে দেখা স্বপ্নের কথা বলল এবং তার ব্যখ্যা জানতে চাইল।
স্বল্প বুদ্ধির সেই ব্যক্তি বেশী কিছু চিন্তা না করেই বলল, বাদশা নামদার! আপনার এই স্বপ্নটা খুবই খারাপ। বড়ই মন্দ এর প্রভাব। এর ব্যখ্যা হলো, আপনার সামনে আপনার পরিবার ও বংশের সকলেই একে একে মৃত্যুবরণ করবে।
এই ব্যাখ্যা শুনে বাদশাহ খুবই খেপে গেল এবং জল্লাদকে ডেকে তাকে হত্যার নির্দেশ দিলো।
এরপর আরেক জনকে ডাকা হলো। সেও এমনই ব্যাখ্যা করল এবং পূর্বের ব্যক্তির মতো প্রাণ হারালো। এভাবে কয়েকজনের পর এক বুদ্ধিমান ও বাগ্মী গণকের সন্ধান পাওয়া গেলো। রাজ দরবারে এসেই এক নিমিষে সব কিছু বুঝে ফেলল। তাই বিচক্ষণতার সাথে সকল জিজ্ঞাসার জবাব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলো।
সে এসে রাজাকে তার স্বপ্নের সঠিক ব্যাখ্যা দেয়ার আশ্বাস দিলো। রাজা তার কাছে স্বীয় স্বপ্ন ব্যক্ত করে তার ব্যখ্যা জানতে চাইলো। লোকটি তখন কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকলো। অতঃপর একটি মুচকি হাসি দিয়ে বাদশাকে লক্ষ্য করে বলল,
রাজা মশাই! আপনি তো খুবই ভালো ও উত্তম একটি স্বপ্ন দেখেছেন। এধরণের স্বপ্ন খুব কম লোকেই দেখে থাকে। আর খুব রাজা-বাদশার ভাগ্যেই এধরণের সু সংবাদ এসে থাকে।
তার এই কথায় বাদশাহ তো অস্থির। এতক্ষণ সকলেই তাকে কেবল খারাপ আর দুঃসংবাদ শোনালো। আর অপরিচিত এই নতুন আগন্তুক কিনা তাকে শোনাবে মহা সুসংবাদ! তাই অস্থির হয়ে রাজা জিজ্ঞেস করলো, কি সেই সুসংবাদ? কি সেই সৌভাগ্য? আমাকে তারাতাড়ি বলো।
পণ্ডিত তখন আয়েশ করে বলল, আপনার দেখা স্বপ্নের ব্যখ্যা হচ্ছে, আপনি আপনার পরিবার-পরিজন ও বংশের সকলের থেকে বেশী হায়াত ও দীর্ঘজীবন লাভ করবেন। আপনার বংশ ও পরিবারের মধ্যে সকলের থেকে বেশী সময় আপনি জীবিত থাকবেন। কেউ আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
তার এই ব্যখ্যা শুনে রাজা তো আনন্দে আত্মহারা। খুশিতে মাতোয়ারা। আর যায় কোথায়। সাথে সাথে তাকে অঢেল ধন-সম্পদ দিয়ে তাকে নিজ রাজ্যের মন্ত্রী পদে আসীন করলো।
দেখলে তো একই বিষয় একটু ঘুরিয়ে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার কারণে একজন পেল অশেষ সাধুবাদ ও ধন-দৌলত। আর একই বিষয় সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে না পারার কারণে অন্যরা দণ্ডিত হলো মৃত্যুদণ্ডে। তাই আমাদেরকেও এমন সুন্দর উপস্থাপনা ও কৌশলপূর্ণ কথা বলার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। যাতে করে জালিমদের সামনে এবং প্রয়োজনে মিথ্যা না বলে থাকতে পারি।
স্বল্প বুদ্ধির সেই ব্যক্তি বেশী কিছু চিন্তা না করেই বলল, বাদশা নামদার! আপনার এই স্বপ্নটা খুবই খারাপ। বড়ই মন্দ এর প্রভাব। এর ব্যখ্যা হলো, আপনার সামনে আপনার পরিবার ও বংশের সকলেই একে একে মৃত্যুবরণ করবে।
এই ব্যাখ্যা শুনে বাদশাহ খুবই খেপে গেল এবং জল্লাদকে ডেকে তাকে হত্যার নির্দেশ দিলো।
এরপর আরেক জনকে ডাকা হলো। সেও এমনই ব্যাখ্যা করল এবং পূর্বের ব্যক্তির মতো প্রাণ হারালো। এভাবে কয়েকজনের পর এক বুদ্ধিমান ও বাগ্মী গণকের সন্ধান পাওয়া গেলো। রাজ দরবারে এসেই এক নিমিষে সব কিছু বুঝে ফেলল। তাই বিচক্ষণতার সাথে সকল জিজ্ঞাসার জবাব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলো।
সে এসে রাজাকে তার স্বপ্নের সঠিক ব্যাখ্যা দেয়ার আশ্বাস দিলো। রাজা তার কাছে স্বীয় স্বপ্ন ব্যক্ত করে তার ব্যখ্যা জানতে চাইলো। লোকটি তখন কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকলো। অতঃপর একটি মুচকি হাসি দিয়ে বাদশাকে লক্ষ্য করে বলল,
রাজা মশাই! আপনি তো খুবই ভালো ও উত্তম একটি স্বপ্ন দেখেছেন। এধরণের স্বপ্ন খুব কম লোকেই দেখে থাকে। আর খুব রাজা-বাদশার ভাগ্যেই এধরণের সু সংবাদ এসে থাকে।
তার এই কথায় বাদশাহ তো অস্থির। এতক্ষণ সকলেই তাকে কেবল খারাপ আর দুঃসংবাদ শোনালো। আর অপরিচিত এই নতুন আগন্তুক কিনা তাকে শোনাবে মহা সুসংবাদ! তাই অস্থির হয়ে রাজা জিজ্ঞেস করলো, কি সেই সুসংবাদ? কি সেই সৌভাগ্য? আমাকে তারাতাড়ি বলো।
পণ্ডিত তখন আয়েশ করে বলল, আপনার দেখা স্বপ্নের ব্যখ্যা হচ্ছে, আপনি আপনার পরিবার-পরিজন ও বংশের সকলের থেকে বেশী হায়াত ও দীর্ঘজীবন লাভ করবেন। আপনার বংশ ও পরিবারের মধ্যে সকলের থেকে বেশী সময় আপনি জীবিত থাকবেন। কেউ আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
তার এই ব্যখ্যা শুনে রাজা তো আনন্দে আত্মহারা। খুশিতে মাতোয়ারা। আর যায় কোথায়। সাথে সাথে তাকে অঢেল ধন-সম্পদ দিয়ে তাকে নিজ রাজ্যের মন্ত্রী পদে আসীন করলো।
দেখলে তো একই বিষয় একটু ঘুরিয়ে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার কারণে একজন পেল অশেষ সাধুবাদ ও ধন-দৌলত। আর একই বিষয় সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে না পারার কারণে অন্যরা দণ্ডিত হলো মৃত্যুদণ্ডে। তাই আমাদেরকেও এমন সুন্দর উপস্থাপনা ও কৌশলপূর্ণ কথা বলার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। যাতে করে জালিমদের সামনে এবং প্রয়োজনে মিথ্যা না বলে থাকতে পারি।
Post a Comment