দুর্বল গোয়েন্দাব্যবস্থার কারণে ভারত ঝুঁকির মধ্যে থাকবে

ন্ত্রাসবাদবিরোধী নীতিতে মৌলিক পরিবর্তন না আনা পর্যন্ত ভারত জঙ্গি হামলার সহজ লক্ষ্যবস্তু থাকবে; যে নীতিতে কার্যকর গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা এ কথা বলেন।

বিশ্লেষকেরা বলেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পদ্ধতি এখনো দুর্ভাগ্যজনকভাবে পরিপূর্ণ নয়।
গত বুধবার ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে তিনটি বিস্ফোরণে ১৭ জন নিহত হন। আহত হন আরও কমপক্ষে ১৩১ জন। আহত ব্যক্তিদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নয়াদিল্লির ইনস্টিটিউট অব কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্টের নির্বাহী পরিচালক আজাই সাহনি বলেন, ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার পর নেওয়া নতুন পদক্ষেপ পুলিশব্যবস্থা ও তৃণমূল পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রধান দুর্বলতার ‘একটি ক্ষুদ্র অংশ’ দূর করেছে মাত্র।
সাহনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আপনি অবশ্যই সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে শতভাগ নিশ্চয়তা পাবেন না; তবে এটা বলা যায়, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমাদের প্রচণ্ড দুর্বলতা রয়েছে।’ তিনি বলেন, ভারতের পুলিশ বাহিনী অনেক ক্ষেত্রে ‘অনুপযুক্ত’। সাহনি বলেন, পুলিশের ফরেনসিক সামর্থ্য সামান্য বা একেবারেই নেই। গোয়েন্দা প্রশিক্ষণের অবস্থাও একই রকম।
দেশে কার্যকর জাতীয় অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদবিষয়ক ডেটাবেস না থাকার কথা উল্লেখ করে সাহনি বলেন, সরকারগুলো অতীত থেকে শিক্ষা নিতে দৃশ্যমানভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা কয়েক দশক ধরে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়ছি। কিন্তু পুলিশের জন্য সন্ত্রাসবাদবিরোধ বিষয়ে কোর্স চালু করা হয়েছে ২০১০ সালে।’
দিল্লিভিত্তিক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ উইলসন জন বলেন, সরকার জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর জন্য অনেক বেশি জায়গা খালি রেখেছে।
Share this post :

Post a Comment

Test Sidebar

 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. BdNewsTest - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Blogger