“হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, মুনাফিকের আলামত তিনটি-
১. যখন বলে মিথ্যা বলে। ২. যখন ওয়াদা করে তা ভঙ্গ করে।
৩. তার নিকট যখন কিছু রাখা হয় তা অস্বীকার করে। (বুখারী ও মুসলিম)
ওয়াদা পালন করা আখলাকে হামীদা বা প্রশংসনীয় আচরণের অন্যতম বৈশিষ্ট্য, এটি ঈমানে একটি অঙ্গ।
ওয়াদা পালন করা মানে কথা দিয়ে কথা রাখা, যে লোক ওয়াদা পালন করে তাকে সবাই বিশ্বাস করে, ভালোবাসে। ওয়াদা পালন করলে আল্লাহ খুশি হন। মহানবী (সা) বলেন, ‘যে ওয়াদা পালন করে না, সে ধার্মিক নয়।’
মহানবী (সাঃ) এবং সাহাবীগণ ওয়াদা করলে যত অসুবিধাই হোক না কেন তা পালন করতেন। ইরানের একটি প্রদেশের শাসনকর্তা ছিল হরমুজান। সে খুব অত্যাচারী ও বিশ্বাসঘাতক ছিল। এক যুদ্ধ সে মুসলিম বাহিনীর হাতে বন্দী হয়। তাকে খলীফা উমর (রা) এর কাছে আনা হলো। উমর (রা) বললেন, হরমুজান, তুমি অনেক মুসলিমকে হত্যা করেছ। নিরীহ লোকের ঘরবাড়ি ধ্বংস করেছে। তোমার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। মৃত্যুর আগে তোমার কিছু বলার আছে কি? হরমুজান পানি চাইল, তাকে পানি দেওয়া হল। সে বলল, ‘খলীফা! আপনি দয়া করে কথা দিন, পানি পান করার আগে আমাকে হত্যা করা হবে না।’
উমর (রা) কথা দিলেন। চতুর হরমুজান পানিটুকু ফেলে দিল আর বলল, ‘আমি পানি পান করবো না, আপনারাও আমাকে হত্যা করতে পারবেন না। মুসলিম সৈন্যরা তাকে হত্যা করতে চাইল। উমর (রা) বললেন, ‘না, তা হয় না।’ একজন মুসলিমের কথার মূল্য অনেক। চরম মূল্য দিয়ে হলেও আমার কথা আমাকে রাখতেই হবে। হরমুজানকে হত্যা করা চলবে না, সে মুক্ত।’
প্রিয় বন্ধুরা, ইসলামের এই আদর্শে হরমুজান মুগ্ধ হলো, সে ইসলাম গ্রহণ করল।
আমরা সব সময় ওয়াদা পালন করবো, কোন সময় ওয়াদা ভঙ্গ করব না।
গ্রন্থণায় : গোফরান হোসাইন
১. যখন বলে মিথ্যা বলে। ২. যখন ওয়াদা করে তা ভঙ্গ করে।
৩. তার নিকট যখন কিছু রাখা হয় তা অস্বীকার করে। (বুখারী ও মুসলিম)
ওয়াদা পালন করা আখলাকে হামীদা বা প্রশংসনীয় আচরণের অন্যতম বৈশিষ্ট্য, এটি ঈমানে একটি অঙ্গ।
ওয়াদা পালন করা মানে কথা দিয়ে কথা রাখা, যে লোক ওয়াদা পালন করে তাকে সবাই বিশ্বাস করে, ভালোবাসে। ওয়াদা পালন করলে আল্লাহ খুশি হন। মহানবী (সা) বলেন, ‘যে ওয়াদা পালন করে না, সে ধার্মিক নয়।’
মহানবী (সাঃ) এবং সাহাবীগণ ওয়াদা করলে যত অসুবিধাই হোক না কেন তা পালন করতেন। ইরানের একটি প্রদেশের শাসনকর্তা ছিল হরমুজান। সে খুব অত্যাচারী ও বিশ্বাসঘাতক ছিল। এক যুদ্ধ সে মুসলিম বাহিনীর হাতে বন্দী হয়। তাকে খলীফা উমর (রা) এর কাছে আনা হলো। উমর (রা) বললেন, হরমুজান, তুমি অনেক মুসলিমকে হত্যা করেছ। নিরীহ লোকের ঘরবাড়ি ধ্বংস করেছে। তোমার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। মৃত্যুর আগে তোমার কিছু বলার আছে কি? হরমুজান পানি চাইল, তাকে পানি দেওয়া হল। সে বলল, ‘খলীফা! আপনি দয়া করে কথা দিন, পানি পান করার আগে আমাকে হত্যা করা হবে না।’
উমর (রা) কথা দিলেন। চতুর হরমুজান পানিটুকু ফেলে দিল আর বলল, ‘আমি পানি পান করবো না, আপনারাও আমাকে হত্যা করতে পারবেন না। মুসলিম সৈন্যরা তাকে হত্যা করতে চাইল। উমর (রা) বললেন, ‘না, তা হয় না।’ একজন মুসলিমের কথার মূল্য অনেক। চরম মূল্য দিয়ে হলেও আমার কথা আমাকে রাখতেই হবে। হরমুজানকে হত্যা করা চলবে না, সে মুক্ত।’
প্রিয় বন্ধুরা, ইসলামের এই আদর্শে হরমুজান মুগ্ধ হলো, সে ইসলাম গ্রহণ করল।
আমরা সব সময় ওয়াদা পালন করবো, কোন সময় ওয়াদা ভঙ্গ করব না।
গ্রন্থণায় : গোফরান হোসাইন
Post a Comment