শতাব্দীর ২য় দশকে দেশের অর্থনীতি যে পথে এগুবে by ড. শামসুল আলম

ত নির্বাচনে রূপকল্প ২০২১ জাতির সামনে পেশ করা ছিল আওয়ামী লীগের জন্য দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ঐতিহাসিক এক পদক্ষেপ। বাংলাদেশ ২০২১ সাল নাগাদ কোথায় পেঁৗছুবে সেখানে ছিল সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের কথা।

জাতি সমৃদ্ধি অর্জনে এগিয়ে যেতে চায়, বর্তমান আর্থ-সামাজিক অবস্থা থেকে পরিবর্তন চায় এর প্রমাণ হল, যখনই আওয়ামী লীগ ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখালো, মধ্যম আয়ের উন্নত দেশ হবার কথা বললো, বিগত নির্বাচনে সত্তরের নির্বাচনের পুনরাবৃতি ঘটিয়ে বিজয়ী হল। বলা হয়ে থাকে নবীন ভোটাররা বিপুল সংখ্যায় গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। এ কথা সত্য যে, নবীন প্রজম্ম পরিবর্তনের জন্য উন্মুখ। তারা হতাশার কথা শুনতে চায় না, দ্বন্দ্ব দেখতে চায় না। আর এ জন্যই নেতিবাচক রাজনীতি করে কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষেই এখন টিকে থাকা কঠিন হবে। যা হোক, পরিবর্তনের কথায় আসি। আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের প্রধান উৎস অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। সম্পদের বৃদ্ধি সাধন। জাতিগতভাবে সম্পদের বৃদ্ধিকে পরিমাপ করা হয় জাতীয় উৎপাদনের মাধ্যমে, যাকে অর্থনীতির পরিভাষায় বলা হয় জিডিপি বা গ্রস ডমেষ্টিক প্রডাক্ট। প্রবৃদ্ধির হার ছয় শতাংশ বৃদ্ধি পেলে, মোটামুটি মাথাপিছু আয় বাড়ে চার শতাংশ। দারিদ্র্যের সংখ্যা কমে যায় প্রায় আড়াই শতাংশ। রূপকল্পের ভিশন অনুযায়ী মধ্যম উন্নত দেশ হতে হলে ২০১৫ সালের মধ্যে জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার হতে হবে অন্তত আট শতাংশ এবং তৎপরবর্তী কাল নাগাদ নয় শতাংশ এবং ২০২১ সালের পূর্বেই ১০ শতাংশ জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন।

একবিংশ শতকের দ্বিতীয় দশকে সরকারের দু'টি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে। বাংলাদেশ মধ্যমেয়াদি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পথ ছেড়েছে ২০০২ সালে এবং সেটা ছিল আওয়ামী লীগ সরকার প্রণীত পঞ্চম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। ২০০২ জুলাই থেকে তিন বছর মেয়াদী দারিদ্র্য নিরসন কৌশলপত্র (পি,আর,এসপি) বাস্তবায়ন শুরু হয়েছিল। সংশোধিত দ্বিতীয় পি,আর,এসপি যা এখনো বাস্তবায়নাধীন আছে যার মেয়াদ শেষ হবে জুন ২০১১ তে। এই পি,আর,এসপি নামীয় কৌশলপত্রের মূল প্রেরণাদাতা হল বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ। খণ্ডিত এই পরিকল্পনা কৌশল ছেড়ে বর্তমান সরকার পুনরায় মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনা ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং জুন ২০১১ এর পূর্বেই এই পরিকল্পনা দলিল চূড়ান্ত রূপ পাবে। এই সরকারের এটি তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত এই জন্য যে, এতে ২০১৫ সালের মধ্যে আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা ও সেসব অর্জনের বাস্তবানুগ কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২১ সাল হবে বাংলাদেশে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী বছর এবং ভিশন ২০২১ এর আলোকে এই সরকার একটি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১১-২০২১)-এর রূপরেখাও প্রণয়ন করেছে যা অনুমোদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এই প্রেক্ষিত পরিকল্পনার রূপরেখার ভিত্তিতেই ষষ্ঠ ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী দু'টো পরিকল্পনা প্রণীত হবে। এই জন্যই একবিংশ শতকের এই দ্বিতীয় দশক হবে বাংলাদেশের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা মাফিক লক্ষ্য অর্জনের অর্থনৈতিক সংগ্রাম। উলেস্নখযোগ্য হল যে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ কি অর্জন করতে চায় ২০২১ সাল নাগাদ, প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় তা স্পষ্টায়ন করা হয়েছে। ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় প্রেক্ষিত পরিকল্পনার ভিত্তিতে লক্ষ্যসমূহ নির্ধারণ ও কৌশল চিহ্নিত হয়েছে। এই দশকের উন্নয়ন কৌশলের প্রধান চালিকাশক্তি হবে বেসরকারি খাত। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য হল উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জন ও সর্বোচ্চ কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং এর মধ্যদিয়েই ২০১৫ সাল নাগাদ দারিদ্র্যের হার ২৯ শতাংশ কিংবা এর নীচে নামিয়ে আনা। ২০২১ সাল নাগাদ দারিদ্র্যের হার ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশ্ব মন্দার সময়েই মহাজোট সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায় এবং ২০০৮-০৯ বছরে প্রদ্ধির হার ছিল ৫.৭ ভাগ এবং ২০০৯-১০ সালে ৬.০ শতাংশ। বিশ্ব মন্দার প্রেক্ষাপটে এ প্রবৃদ্ধির হার সন্তোষজনকই বলতে হবে। তবে বর্তমান আর্থিক বছরে প্রবৃদ্ধির হার প্রাক্কলন করা হয়েছে ছয় দশমিক সাত শতাংশ। জাতীয় সম্পদ বৃদ্ধির মাধ্যম হল কৃষি, শিল্প, ম্যানুফেকচারিং ও সেবামূলক কাজে উৎপাদক ও ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা শ্রেণীর অংশগ্রহণ। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারও সম্পদ ও পুঁজি সৃষ্টি করে থাকে। তবে সরকারের এ বিনিয়োগ মাত্র (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী) মোট জাতীয় আয়ের চার দশমিক এক শতাংশ। এ ছাড়াও সরকার বেতন-ভাতাদি খাতে ব্যয় করে থাকে, সে ব্যয়ও জাতীয় আয়ের প্রায় সাড়ে বার ভাগ। এটা বিনিয়োগ নয় বরং সরকারী ভোগ ব্যয়। মূল কথা হচ্ছে, জাতীয় সম্পদ সৃষ্টিতে আর যে ছিয়ানব্বই শতাংশ বিনিয়োগ সে সবটাই হচ্ছে বেসরকারী বা ব্যক্তি বিনিয়োগ। এখন অর্থনীতির ব্যাপক প্রবৃদ্ধি অর্জন চাইলে এই ছিয়ানব্বই ভাগ বিনিয়োগের দক্ষতা প্রসারতার উপরই বহুলাংশে নির্ভর করে জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার। মূল কথা হচ্ছে বা বাস্তবতা হচ্ছে, বেসরকারী খাতই আমাদের প্রবৃদ্ধি অর্জনের মূল বা প্রায় একমাত্র চালিকাশক্তি। এই বেসরকারী খাত বিনিয়োগে কতটা এগিয়ে যেতে পারে বা কত বেশী বিনিয়োগ করতে পারবে, তা নির্ভর করে যোগাযোগসহ অবকাঠামো খাত কতটা দক্ষ এবং সুযোগ দিতে পারে। শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠান চালানোর জন্য কতটা প্রয়োজনীয় জ্বালানি শক্তি পাওয়া যায় তার উপর। সড়ক জনপথ, কমিউনিকেশন বন্দরসহ শিল্প, বিদু্যৎ ও জ্বালানি খাতে অবকাঠামো গড়ে তোলাই হচ্ছে সরকারী বার্ষিক উন্নয়ন ব্যয়ের অন্যতম লক্ষ্য। সরকারী বিনিয়োগ এই কারণেই জাতীয় আয়ের অংশ হিসেবে কম হলেও গুরুত্বপূর্ণ। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতে যা বরাদ্দ প্রাক্কলন করা হোক, তার পুরোটা বাস্তবায়ন হয় না। গত আর্থিক বছরে সর্বোচ্চ ব্যয়িত হয়েছিল একানব্বই শতাংশ। সরকারী বিনিয়োগ ব্যয়ের দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কাজ না করেই কোটি টাকা ব্যয়ের নজীরও রয়েছে অতীতে এদেশে। সড়ক পাকা করার কয়েক মাসের মধ্যেই দেখা যায় খোয়া উঠে যাচ্ছে। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও দেখা যায় আমাদের দেশের সর্বোচ্চ বিনিয়োগ হচ্ছে না। এখন তার প্রধান কারণ হচ্ছে প্রয়োজনীয় বিদু্যৎ বা জ্বালানির অপ্রতুলতাসহ অপর্যাপ্ত ও অদক্ষ অবকাঠামো সুবিধা। আমাদের জাতীয় আয়ের বিনিয়োগ উপযোগী সঞ্চয়ের পরিমাণ হচ্ছে বত্রিশ শতাংশ, যা টাকার অংকে প্রায় দুই লক্ষ বিশ হাজার নয়শ' তিরাশি কোটি টাকা। বিনিয়োগ হচ্ছে জাতীয় আয়ের চবি্বশ শতাংশ মাত্র যা টাকার অংকে প্রায় এক লক্ষ পঁয়ষট্টি হাজার সাতশ' সাঁইত্রিশ কোটি টাকা। বিনিয়োগযোগ্য অব্যবহূত পঞ্চান্ন হাজার দুইশ' ছিচলিস্নশ কোটি টাকা যা জাতীয় আয়ের ছয় শতাংশ এবং মার্কিন ডলারে সাত দশমিক ঊননব্বই বিলিয়ন টাকা। আমরা গড় যা বার্ষিক বিদেশী ঋণ সহায়তা পেয়ে থাকি তা আমাদের জাতীয় স্থূল আয়ের মাত্র এক দশমিক চুরানব্বই শতাংশ, টাকার অংকে যা প্রায় তের হাজার তিনশ' সাতানব্বই কোটি টাকা। এ অংক থেকে এটা স্পষ্ট যে আমরা আমাদের বিনিয়োগ সামর্থ্যের পুরোটা কাজে লাগাতে পারলে, বৈদেশিক ঋণ সহায়তার দ্বারস্থ হতে হয় না এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে দাতাদের খবরদারিত্ব মেনে নিতে হয় না। বর্তমানে জাতীয় আয়ের চার শতাংশ বিনিয়োগে গেলে জাতীয় আয় বৃদ্ধি প্রায় এক শতাংশ। জাতীয় স্থূল আয়ের (জিডিপি'র), বর্তমান ২৪ শতাংশ বিনিয়োগে আমাদের প্রকৃত বার্ষিক প্রবৃদ্ধির গড় হার এখন ছয় শতাংশ। প্রতিবছর আট শতাংশ প্রবৃদ্ধি চাইলে জাতীয় আয়ের বত্রিশ শতাংশই বিনিয়োজিত হতে হবে। আট শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলে বছরে দারিদ্র্যের সংখ্যা কমে যাবে সাড়ে তিন শতাংশ হারে। ২০১১ সালের অর্থনীতির খাতে মূল চ্যালেঞ্জ হলো জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার অন্তত সাত শতাংশে পেঁৗছানো, (সরকারী টার্গেট ছয় দশমিক সাত শতাংশ)। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জনগণকে যে স্বপ্নতাড়িত করেছে, তা অর্জনের প্রায় একমাত্র নিয়ামক হল এই প্রবৃদ্ধির হার শুধু ছয় শতাংশে ধরে রাখা নয়। ক্রমান্বয়ে তা সাত এবং পরবর্তীতে আট শতাংশে পেঁৗছানো। বেসরকারী বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে হলে, দেশের মেধা-মননকে সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে চাইলে, জনগণের শক্তি বিকাশের সব ব্যবস্থা হাতে নিতে হবে। বাজার ব্যবস্থার উপর নির্ভর করেই ব্যক্তিখাতের সব অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালতি হয়ে থাকে। বাজার ব্যবস্থা হবে উন্মুক্ত, প্রতিযোগিতমূলক। বাজার সৃষ্টির প্রতিবন্ধকতা থাকলে (যেমন, যোগাযোগ ব্যবস্থার ত্রুটি থাকলে বাজার সৃষ্টি বাধাপ্রাপ্ত হয়), বাজরে প্রতিযোগিতা কোন কারণে ব্যাহত হলে, বাজারে পণ্যের গুণগত মান রক্ষিত না হলে, এসব বিষয়গুলো, বাজারের তত্ত্বাবধান হিসেবে সরকারকেই দেখতে হবে। সরাসরি সরকার ব্যবসায় নামবে না বা ব্যবসা করবে না। আজকের প্রেক্ষাপটে এটিই চরম বাস্তবতা। এই আলোকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১ জানুয়ারী বাণিজ্য মেলায় উদ্বোধনী বক্তব্যে উলেস্নখ করেছেন 'ব্যবসায়ীরাই ব্যবসা করবে, সরকার ব্যবসা করবে না'। কথাগুলো তিনি সহজভাবেই গুছিয়ে বলেছেন, যার নীতিগত মূল্য অপরিসীম। সরকার ব্যবসা করলে কি লণ্ডভণ্ড অবস্থা হয়, আদমজি পাটকল ধ্বংস হয়ে যাওয়াই এর প্রকৃত উদাহরণ ( যেখানে আশি হাজার শ্রমিকের জন্য ছুটা শ্রমিক রাখা হত চলিস্নশ হাজার)। এই বক্তব্যের আলোকেই সরকারের সব লোকসানী শিল্প-কারখানা থেকে হাত গুটিয়ে নেয়া উচিত। মুনাফাভিত্তিক ব্যক্তিখাত সুযোগ পেলেই, গলাকাটা মুনাফা কিংবা রক্তচোষায় পরিণত হতে পারে। সে কারণেই বাজার তদারকী এবং যথাসময়ে প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ করে বাজারকে সঠিক ধারায় রাখার জন্য, প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারকেও যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে উঠতে হয়।

দেশের জন্য এবং দেশের বাইরের জন্য যাতে প্রয়োজনীয় পণ্য বাজার গড়ে উঠে এবং যে পণ্য বাজার সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো বিনা বাধায় যাতে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে, সার্বিকভাবে এই বিষয়গুলো দেখাই সরকারের মৌলিক ও প্রধান দায়িত্ব। সুযোগ পেলে, প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর সুবিধা পেলে, বেসরকারী খাত অসাধ্য সাধন করতে পারে। এই বেসরকারী হাত দিয়েই আমরা খাদ্য উৎপাদনে স্বাধীনতার পরে এক কোটি টন থেকে এখন তিন কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টনে পেঁৗছিয়েছি। তিনশ' মিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি আয়কে ষোল দশমিক দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছি। ব্যক্তিখাতের ওষুধ রপ্তানির আয় এখন প্রায় এক বিলিয়ন ডলারে পেঁৗছেছে। ব্যক্তিখাতের রেমিটেন্স আয় এখন দশ দশমিক বাহাত্তর বিলিয়ন মার্কিন ডলার। উন্নত প্রযুক্তির জাহাজ রপ্তানির সামথর্্যও অর্জন করেছে ব্যক্তিখাত। কাজেই ব্যক্তিখাতই হবে আমাদের উন্নয়নের চালিকাশক্তি। সেই চালিকাশক্তিকে আরো গতি দিতে সরকারকে মানবসম্পদ উন্নয়নে ব্যাপক প্রয়াস নিতে হবে। সড়ক, জনপথ, বন্দরের মত ভৌত অবকাঠামো, বিদু্যৎ উৎপাদন ও জ্বালানি অনুসন্ধানের সর্বোচ্চ ব্যয়ের পরিকল্পনা এবং সেই সংগে বাজার চাহিদা উপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে সরকারের জন্য এখন হবে শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ ব্যয়। আমাদের প্রতিবেশী চীনে প্রবৃদ্ধির হার বার থেকে তের শতাংশ, ভারতে নয়-দশ শতাংশের বিবেচনায় আমাদের প্রবৃদ্ধির হার এখনো অনেক পেছনে। একুশ শতকের দ্বিতীয় দশক বাংলাদেশের জন্য চিহ্নিত হতে হবে প্রবৃদ্ধির জন্য উলস্নম্ফনের দশক হিসেবে। উচ্চতর প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন স্বাধীনতার দল আওয়ামী লীগ জাগিয়েছে তা বাস্তবায়নে উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জন ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।
Share this post :

Post a Comment

Test Sidebar

 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. BdNewsTest - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Blogger