২০১১ সালের মাঝামাঝি বিশ্বের জনসংখ্যা হইবে ৭০০ কোটি। বিশ্ব জনসংখ্যা ফাউন্ডেশন এই হিসাবটি প্রকাশ করিয়াছে। জার্মান ফাউন্ডেশন ফর ওয়ার্ল্ড পপুলেশন অথবা ডিএসডবিস্নউ তাহাদের ওয়েবসাইটে "পপুলেশন মিটার" নামে একটি ক্যালকুলেটর পরিচালনা করিয়াছে।
যাহা বার্ষিক বিভিন্ন তথ্যের সূত্র ধরিয়া হিসাব করিয়াছে। শুক্রবার রাত অবধি বিশ্বের জনসংখ্যা হিসাব দেখান হইয়াছে ৬৯৩ কোটি ৪১ লক্ষ ৯৬ হাজার জন। এক বৎসর আগের চাইতে এই সংখ্যা ৮০ মিলিয়ন বেশি। ঐ পরিসংখ্যানটি এই তথ্যই প্রদান করিতেছে যে, বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে ২৬ জন নূতন মানুষ যোগ হইতেছে। উন্নয়নশীল দেশগুলিতে ১৯৫০ সালে একেকজনের ছয়টি করিয়া সন্তান জন্ম নিত। সেই সংখ্যা এখন নামিয়া আসিয়াছে ২.৫-এ। ব্রাজিল, চিলি, কিউবা, ইরান, থাইল্যান্ড এবং তুরস্কে প্রতিজন মা দুইটি করিয়া সন্তান জন্ম দিতেছেন। অথবা উহার চাইতেও কম।
পক্ষান্তরে শতাব্দীর মধ্যভাগে আফ্রিকার জনসংখ্যা দ্বিগুণ বাড়িয়া দুইশত দশ কোটি হইবে। উহার সঙ্গে যুক্ত হইবে এশিয়ার বর্ধিত একশত ত্রিশ কোটি। বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৪৪ লক্ষ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৪ এবং প্রজনন হার ২ দশমিক ২৫। বাংলাদেশের মত নাতিশীতোষ্ণ এবং উন্নয়নশীল দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শূন্যের পর্যায়ে নামাইয়া আনা সহসা সম্ভব হইবে না।
জনসংখ্যা সীমিত করিয়া আনার পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির প্রশ্নটিও গুরুত্বপূর্ণ। জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করিবার ক্ষেত্রে আশানুরূপ সাফল্য না আসায় বিষয়টি নানাভাবে দেশের উন্নয়নের অন্তরায় হইয়া উঠিয়াছে। কাজেই জনসংখ্যাকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তরিত করিতে পারিলে দেশের দারিদ্র্য সহনশীল মাত্রায় নামিয়া আসিবে। জীবনযাত্রার মান উন্নীত হইলে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রিত হইলে আশানুরূপ সাফল্য আসিতে পারে। সুতরাং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করিয়া এই ক্ষেত্রে সরকারের চলমান কর্মসূচিগুলির সফল বাস্তবায়ন করা অতি প্রয়োজন ও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিশ্চিত করাও অতি জরুরী। আমরা মনে করি, উন্নয়ন নিশ্চিত করিতে হইলে পরিকল্পিত পরিবার গঠন করিতে হইবে। দেশের জনসংখ্যাকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত করিবার কোন বিকল্প নাই। সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও দেশে মানবসম্পদই হইতে পারে সবচাইতে বড় জাতীয় সম্পদ। ইহার জন্য গণসচেতনতা সৃষ্টি করিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করিতে হইবে সংশিস্নষ্ট সকলকেই।
পক্ষান্তরে শতাব্দীর মধ্যভাগে আফ্রিকার জনসংখ্যা দ্বিগুণ বাড়িয়া দুইশত দশ কোটি হইবে। উহার সঙ্গে যুক্ত হইবে এশিয়ার বর্ধিত একশত ত্রিশ কোটি। বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৪৪ লক্ষ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৪ এবং প্রজনন হার ২ দশমিক ২৫। বাংলাদেশের মত নাতিশীতোষ্ণ এবং উন্নয়নশীল দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শূন্যের পর্যায়ে নামাইয়া আনা সহসা সম্ভব হইবে না।
জনসংখ্যা সীমিত করিয়া আনার পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির প্রশ্নটিও গুরুত্বপূর্ণ। জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করিবার ক্ষেত্রে আশানুরূপ সাফল্য না আসায় বিষয়টি নানাভাবে দেশের উন্নয়নের অন্তরায় হইয়া উঠিয়াছে। কাজেই জনসংখ্যাকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তরিত করিতে পারিলে দেশের দারিদ্র্য সহনশীল মাত্রায় নামিয়া আসিবে। জীবনযাত্রার মান উন্নীত হইলে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রিত হইলে আশানুরূপ সাফল্য আসিতে পারে। সুতরাং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করিয়া এই ক্ষেত্রে সরকারের চলমান কর্মসূচিগুলির সফল বাস্তবায়ন করা অতি প্রয়োজন ও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিশ্চিত করাও অতি জরুরী। আমরা মনে করি, উন্নয়ন নিশ্চিত করিতে হইলে পরিকল্পিত পরিবার গঠন করিতে হইবে। দেশের জনসংখ্যাকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত করিবার কোন বিকল্প নাই। সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও দেশে মানবসম্পদই হইতে পারে সবচাইতে বড় জাতীয় সম্পদ। ইহার জন্য গণসচেতনতা সৃষ্টি করিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করিতে হইবে সংশিস্নষ্ট সকলকেই।
Post a Comment