কালের কণ্ঠের প্রথম বর্ষপূর্তিঃ জীবনে কিছুই পাইনি আজ পেলাম...

‘জীবনে কিছুই পাইনি, আজ পেলাম। আপনারা আমাকে যে সম্মান দিলেন...।’ আর কিছু বলতে পারলেন না আয়েশা বেগম। রুদ্ধশ্বাসে ফুঁপিয়ে উঠলেন। তারপর আকুল কান্নায় ভেঙে পড়লেন ৭০ বছার বয়সী এই মুক্তিযোদ্ধা। হলভর্তি মানুষ স্তব্ধ। পিনপতন নীরবতা। সবার চোখে অশ্রু। মন্ত্রীরাও চোখ মুছলেন। কান্না থামানোর চেষ্টা অতিথিদের। আয়েশা বেগম যেন হাজারো মুক্তিযোদ্ধার হৃদয়ের সমস্ত দুঃখ-কষ্ট-বেদনা ঢেলে দিয়েছেন এখানে।
এখানে বসেছিল নারী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান। কালের কণ্ঠের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল গতকাল ১০ জানুয়ারি, সোমবার। এ উপলক্ষে কালের কণ্ঠ আয়োজন করেছিল ‘একাত্তরের বিজয়িনী বিশেষ সম্মাননা’ অনুষ্ঠান। এবারের বিজয়ের মাস ডিসেম্বরজুড়ে ‘একাত্তরের বিজয়িনী’ শিরোনামে যে ৩০ জন নারী মুক্তিযোদ্ধার কাহিনী ছাপা হয় কালের কণ্ঠে, তাঁদের মধ্য থেকে তৃণমূলের ১২ জনকে দেওয়া হয় এই সম্মাননা।
এই হƒদয়গ্রাহী সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের পাশাপাশি গতকাল দিনভর ঢাকার পান্থপথে বসুন্ধরা সিটিতে কালের কণ্ঠের কার্যালয় ছিল আনন্দ-উৎসবে সরগরম। দেশের পত্রিকাজগতের ইতিহাসে নজিরবিহীন সাফল্য দেখিয়ে একটি বছর পার করে কালের কণ্ঠ যে মাইলফলক রচনা করেছে, একে অভিনন্দিত করতে এসেছিলেন সব ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তি থেকে শুরু করে মুগ্ধ পাঠকরা। তাঁদের পদচারণ আর কলকাকলিতে যেন একটি ধ্বনিই প্রতিধ্বনিত হয়েছে বারবারÑ‘কালের কণ্ঠ এগিয়ে চলো।’
একাত্তরের বিজয়িনীদের সম্মাননা : যে আয়েশা বেগম সম্মাননা গ্রহণ করতে এসে কাঁদিয়েছেন সবাইকে, একাত্তরে তিনি যুদ্ধ করেছেন বাগেরহাটের শরণখোলা এলাকায়। পাকিস্তানি হানাদার আর রাজাকারদের হাতে স্বামী ও মেয়েকে হারিয়ে মাত্র ছয় মাসের ছেলেটিকে ঘরে রেখে তিনি যুদ্ধে যান প্রতিশোধ নিতে। অস্ত্রহাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন শত্র“সেনার ওপর। একদিন খবর আসে, তাঁর শিশুপুত্রটিও মারা গেছে; কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্র থেকে তিনি আসতে পারেন না। তিনি বাড়ি ফেরেন বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে; কিন্তু সব হারিয়ে।
১২ জন নারী মুক্তিযোদ্ধার সবারই এ ধরনের মর্মস্পর্শী কাহিনী সংক্ষেপে তুলে ধরা হয় সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানে আগত ব্যক্তিরা রুদ্ধশ্বাসে শোনেন যুদ্ধদিনের সেই সব গল্প। এরই মধ্যে একে একে ১২ জন মুক্তিযোদ্ধার প্রত্যেকের হাতে তুলে দেওয়া হয় সম্মাননার ক্রেস্ট, সনদ আর এক লাখ টাকার চেক। তাঁদের গায়ে জড়িয়ে দেওয়া হয় উত্তরীয়।
সম্মাননা পাওয়া নারী মুক্তিযোদ্ধারা হলেন কুড়িগ্রামের তারামন বিবি বীরপ্রতীক, সুনামগঞ্জের কাকন বিবি, কিশোরগঞ্জের মনোয়ারা বেগম, সিলেটের ছায়ারুন, গোপালগঞ্জের মোমেলা খাতুন ও নাজমা বেগম, বাগেরহাটের আয়েশা খানম, যশোরের ফাতেমা খাতুন, দিনাজপুরের মমতাজ বেগম বেলী, টাঙ্গাইলের জয়নাব বেগম, সিরাজগঞ্জের আমিনা বেগম মিনা এবং চট্টগ্রামের মধুমিতা বৈদ্য। তাঁদের পাশাপাশি বিকেলে বিশেষভাবে সম্মাননা প্রদান করা হয় বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীকে। একই সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয় তাঁর হাতে।
সম্মাননার জবাবে নারী মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে তারামন বিবি বীরপ্রতীক বলেন, ‘কালের কণ্ঠ আমাদের লড়াই করার সাহস দিয়েছে। সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এ সম্মান শুধু আমাদের একার নয়, দেশের সব নারী মুক্তিযোদ্ধার।’
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বাধ্য হয়ে কিংবা ঘটনাক্রমে আমরা মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিইনি। বঙ্গবন্ধুর দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে তাঁরই নির্দেশনায় আমরা মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলতেনÑযে জাতি রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করতে পারে, তাদের কেউ দাবাতে পারবে না। বহু মানুষের রক্তের বিনিময়ে শেখ হাসিনা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। এখন কেউ আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবে না, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। কৃষি ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সূচকেও বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।’
সাফল্যের বিস্ময় উৎসবে প্রকাশ : ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি অনেকটা অনাড়ম্বরেই আÍপ্রকাশ করেছিল কালের কণ্ঠ। প্রকাশনার মাত্র তিন মাসের ব্যবধানেই পত্রিকাটির প্রচারসংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়ে যায়।
এ অনন্য সাফল্যকে অভিনন্দন জানাতে গতকাল সরকারি দল ও বিরোধী দলের রাজনীতিক, লেখক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, মুক্তিযোদ্ধা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, অভিনেতা-অভিনেত্রী-শিল্পী, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মিলনমেলা বসেছিল কালের কণ্ঠ কার্যালয়ে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আসতে থাকে ফুলেল শুভেচ্ছা। কালের কণ্ঠের কাছে তাঁদের প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন সবাই।
রঙিন সাজে সজ্জিত করা হয় পুরো কার্যালয়। সকাল সাড়ে ১১টায় কয়েক গুচ্ছ বেলুন উড়িয়ে কালের কণ্ঠের সম্পাদক আবেদ খান প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উৎসব শুরু করেন। দুপুর ১২টায় ছিল কেক কাটার পর্ব। শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, কালের কণ্ঠের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ও প্রকাশক মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন, সম্পাদক আবেদ খানসহ একাত্তরের বিজয়িনীরা অংশ নেন কেক কাটায়। বিশাল কেকের এক টুকরো আবেদ খানের মুখে তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী। এরপর মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো কার্যালয়।
শুরু হয় একাত্তরের বিজয়িনীদের সম্মাননা প্রদান। তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম ও ড. মশিউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলাম নারী মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। পুরো অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন কালের কণ্ঠের যুগ্ম সম্পাদক কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন।
কালের কণ্ঠের কাছে প্রত্যাশা অনেক : প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ বলেন, কালের কণ্ঠ যেমন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে, বর্তমান সরকারও তেমনটিই চায়। সরকারও সঠিক সংবাদ পরিবেশনা ও অবাধ তথ্যপ্রবাহে বিশ্বাসী।
শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘সংবাদপত্র এখন স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করছে। মানুষের সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসছে। আমার চাওয়া, এখনো যেসব অসভ্যতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জঞ্জাল রয়ে গেছে, সেগুলোকে মুক্ত করতে কালের কণ্ঠ এগিয়ে যাবে।’
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, একটি ঐতিহাসিক দিনে কালের কণ্ঠের জন্ম। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু বাংলার মাটিতে পা রেখেছিলেন। কালের কণ্ঠ সেই দিনে জন্ম নিয়ে এর তাৎপর্য রেখেছে।
এইচ টি ইমাম বলেন, ‘বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে অনেক নাম না-জানা মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। তাঁদের অনেককেই আমরা এখনো মূল্যায়ন করতে পারিনি। তবে আজকের এ অনুষ্ঠানে এসে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। কালের কণ্ঠ যেভাবে বিজয়িনী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে এগিয়ে এসেছে, সেভাবে ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নেও এগিয়ে আসবে বলে আশা করি।’
ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রনীতি ও আদর্শ বাস্তবায়নের সময় এসেছে। এখন কালের কণ্ঠ সেই আদর্শ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবেÑএমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলাম বলেন, কালের কণ্ঠের মতো আরো যদি অনেকে এভাবে এগিয়ে আসে, তাহলে অনেক মুক্তিযোদ্ধা কিছুটা হলেও তাঁদের কর্মের স্বীকৃতি পাবেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার বলেন, ‘কালের কণ্ঠ শুরু থেকেই নিরপেক্ষতা বজায় রেখে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে। এই ধারা অব্যাহত রাখবে, এমনটাই আশা করি।’
ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকা বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করছে কালের কণ্ঠ। এটা দেখে ভালো লেগেছে।’
সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘দেশে আইনশৃঙ্খলার এখন এমন অবনতি হয়েছে যে সরকারদলীয় সংসদ সদস্যের বাসায়ও ডাকাতি হচ্ছে। অথচ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। দেশের এমন অবস্থায় কালের কণ্ঠ নিরপেক্ষভাবে এগিয়ে যাবে-এমনটাই প্রত্যাশা।’
কালের কণ্ঠের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের দিকনির্দেশনায় ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্র“পের পক্ষ থেকে কালের কণ্ঠসহ যেসব মিডিয়া হাউস গড়ে উঠেছে, এর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন, গণতন্ত্র রক্ষা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখা। আমরা মানুষের মধ্যেও এগুলো ছড়িয়ে দিতে চাই।’
নারী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানিয়ে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালা উৎসর্গ করা হয়েছে জানিয়ে কালের কণ্ঠের সম্পাদক আবেদ খান বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা কিছু পাওয়ার আশায় যুদ্ধে যাননি। কালের কণ্ঠ তাঁদের জন্য কিছুটা হলেও কৃতজ্ঞতা জানাতে পেরে খুশি। কালের কণ্ঠ উন্নয়নের কথা বলতে চায়। সাধারণ মানুষের কল্যাণচিন্তায় নিজেকে নিবেদন করতে চায়। বসুন্ধরা গ্রুপ একটি দলনিরপেক্ষ পত্রিকা তৈরি করতে এগিয়ে এসেছে, যেটা হবে গণপ্রতিনিধিত্বমূলক। সাংবাদিকতার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্যই তারা মিডিয়া জগতে এসেছে। তারা তাদের কথা রেখেছে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠ কার্যালয়ে আসেন শুভেচ্ছা জানাতে। এ সময় তিনি পত্রিকাটির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।
শুভেচ্ছার বন্যা
নানা শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিত্বশীল মানুষের মুখরিত উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন। তাঁরা নবপ্রতিষ্ঠিত দৈনিকটির গুণ ও মানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। কামনা করেন সাফল্য।
উপদেষ্টা, মন্ত্রী, সচিব ও কর্মকর্তাদের শুভেচ্ছা : প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ডা. মোদাচ্ছের আলী এসেছিলেন শুভেচ্ছা জানাতে। বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী জি এম কাদের, খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক এসে শুভেচ্ছা জানান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাসের পক্ষে শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক ডা. মোসাদ্দেক হোসেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. আবদুল করিম, তথ্যসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান, পর্যটনসচিব শফিক আলম মেহেদী, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক সচিব ও কথাসাহিত্যিক মাসুদ আহমেদ এসে শুভেচ্ছা জানান। পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার রাতে এসে শুভেচ্ছা জানান। আরো আসেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ, ডিজিএফআইয়ের ডিজি লে. জেনারেল মোল্লা ফজল আকবর, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ, র‌্যাবের মহাপরিচালক মোখলেসুর রহমান, আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মো. সোহায়েল, গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল জিয়াউল আহসান ও মেজর সাখাওয়াত। এসেছিলেন পুলিশের ডিসি ট্রাফিক (পশ্চিম) সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, ডিসি (সদর দপ্তর) হাবিবুর রহমান, এডিসি মাসুদুর রহমান, এসি সাদিরা খাতুন ও রাসেল শেখ। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আসেন উপপরিচালক ফজলুর রহমান ও মজিবুর রহমান পাটোয়ারী।
বিরোধীদলীয় নেতাদের শুভেচ্ছা : এসেছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এমপি, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি এমপি, যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিম, সহসভাপতি বজলুল করীম আবেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ওবায়দুল হক নাসির ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার খলিলুর রহমান খলিল।
এ ছাড়া রাজনীতিবিদদের মধ্যে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন হায়দার আকবর খান রনো, জাসদ নেত্রী শিরীন আক্তার, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সালাউদ্দিন মতিন প্রকাশ প্রমুখ।
বিশিষ্টজনদের শুভ কামনা : যাঁদের উপস্থিতিতে কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল, তাঁদের মধ্যে ছিলেন কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক, ভাষাসৈনিক ও গবেষক ডা. আহমদ রফিক, বিচারপতি গোলাম রব্বানী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলি খান, সাবেক উপদেষ্টা এ এম এম শওকত আলী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক হারুন হাবীব, লেখক মোহিত উল আলম, অর্থনীতিবিদ সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ, অ্যাডভোকেট এলিনা খান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, প্রফেসর এ এন রাশেদা, ব্যাংকার ও লেখক মামুন রশিদ, অধ্যাপক সানজীদা আখতার, কবি নাসির আহমেদ, অধ্যাপক খালেদ হোসাইন, শিল্পী বুলবুল মহলানবীশ, মুক্তিযোদ্ধা বৈমানিক ক্যাপ্টেন (অব.) আলমগীর সাত্তার, এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট এ কে আজাদ, নারী উদ্যোক্তা নাসরীন আউয়াল মিন্টু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিঞা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হারুন অর রশীদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নোমান উর রশীদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষে ড. আতিয়ার রহমান, প্রভাষক মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. আমিনুল ইসলাম, ক্রিকেটার হাবিবুল বাশার সুমন, সাবেক ফুটবল তারকা কায়সার হামিদ, সাবেক হকি তারকা রফিকুল ইসলাম কামাল, ক্রিকেটার জাভেদ ওমর বেলিম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. শিফায়েত উল্লাহ, নারীনেত্রী রোকেয়া কবীর ও সালমা খান, কর্মজীবী নারীর সাধারণ সম্পাদক শারমিন কবীর, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ঝুনা চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক আখতারুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ গিয়াস প্রমুখ।
মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের শুভেচ্ছা : এসেছিলেন ইত্তেফাক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক শাজাহান সরদার, প্রকাশিতব্য দৈনিক সকালের খবরের সম্পাদক রাশীদ উন নবী বাবু, বৈশাখী টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, একপক্ষ সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি প্রমুখ। আরো এসেছিলেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম, ডেইলি সান, বাংলাভিশন, আজকালের খবর, ফোকাস বাংলা, সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ সমিতি প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
তারকাদের মুখরিত পদচারণ : এসেছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেন, পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম, পরিচালক কাজী হায়াৎ, পরিচালক সমিতির মহাসচিব এফ আই মানিক, পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক, পরিচালক আবু সাঈদ, পরিচালক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হান্নান, পরিচালক গোলাম রব্বানী বিপ্লব, সুরকার আলাউদ্দিন আলী, গীতিকার ও পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ার, কণ্ঠশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ, তপন চৌধুরী, এন্ড্রু কিশোর, সামিনা চৌধুরী, ফাহমিদা নবী, চন্দনা মজুমদার, পরিচালক আফজাল হোসেন, অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, নাট্য নির্মাতা শাকুর মজিদ, নাট্যকার বৃন্দাবন দাশ, চিত্রশিল্পী ও পরিচালক খালিদ মাহমুদ মিঠু, পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিম, পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নাট্য নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী, অভিনেতা ও মডেল মুকিত, কণ্ঠশিল্পী বিপ্লব, অভিনেতা হাসান মাসুদ, আরেফিন শুভ, সিদ্দিকুর রহমান, নাট্য নির্মাতা নেয়ামুল, অভিনেতা নাদের চৌধুরী, নাট্য নির্মাতা নোমান রবিন, ফেরদৌস হাসান, অভিনেতা আমিন আজাদ, ফ্যাশন কোরিওগ্রাফার গালিব, অভিনেতা ও পরিচালক শামীম শাহেদ, অভিনেতা সাইদ বাবু, কণ্ঠশিল্পী বেলাল, বিএফডিসির এমডি মমতাজ আলী শাকুর, শিশুশিল্পী দীঘি, আরজে নিরব, অভিনেতা নীরব, নাট্য নির্মাতা এজাজ মুন্না, অভিনেত্রী মম, অভিনেতা উজ্জ্বল, অভিনেত্রী বর্ষা, কণ্ঠশিল্পী পলাশ, অভিনেতা মারজুক রাসেল, ক্লোজআপ ওয়ান তারকা সালমা, পরিচালক অরণ্য আনোয়ার, আবৃত্তিশিল্পী রবি শঙ্কর মৈত্রী, কণ্ঠশিল্পী আরেফিন রুমি, অভিনেত্রী মীম, নাট্য নির্মাতা মোস্তফা কামাল রাজ, কণ্ঠশিল্পী তপু, কণ্ঠশিল্পী কণা, কণ্ঠশিল্পী আবিদ, উপস্থাপক খন্দকার ইসমাইল, অভিনেতা সম্রাট, অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু, কণ্ঠশিল্পী মাসুদ কোরাইশি, কণ্ঠশিল্পী রাজীব, মুহিন, নৃত্যশিল্পী ফারহানা চৌধুরী বেবী, নৃত্যশিল্পী ইশা, কণ্ঠশিল্পী কোনাল, আনিক, মুগ্ধ, নৃত্যশিল্পী আমিনুল ইসলাম মণি, ফারজানা খান ইলা, অভিনেত্রী স্বাগতা, শাহনাজ খুশী, তামান্না, যাত্রাশিল্পী উন্নয়ন পরিষদের মিলন কান্তি দে, অভিনেতা নিলয়, রওনক হাসান, নাট্য নির্মাতা মানিক মানবিক, কৌশিক শঙ্কর দাশ, অভিনেতা সজল, কণ্ঠশিল্পী বালাম, পরিচালক শারাফ আহমেদ জীবন, অভিনেতা আজিজুল হাকিম, পরিচালক জিনাত হাকিম, পরিচালক শাহনেওয়াজ কাকলি ও অভিনেতা প্রাণ।
বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যানের শুভেচ্ছা : বসুন্ধরা গ্র“পের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের পক্ষ থেকে কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সম্পাদক ও সংবাদকর্মীদের শুভেচ্ছা জানানো হয়। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের পক্ষে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক বিদ্যুৎ কুমার ভৌমিক, নির্বাহী পরিচালক (হিসাব-ইডাব্লিউপিডি) ইমরুল হাসান, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (বিসিডিএল) মেজর (অব.) মেহেদী হাসান, সমন্বয়ক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন সম্পাদক আবেদ খান ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিনকে।
আরো যাঁরা অভিনন্দন জানিয়েছেন : আশিয়ান সিটি, গণসাক্ষরতা অভিযান, যাত্রী, প্রাইম ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, অ্যাডভারটাইজিং কম্পানি প্রচিত, পপুলার, সাঈদ বাবু, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, মিডোরি কমিউনিকেশন লি., আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ, এক কাপ চা চলচ্চিত্র, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লি., এশিয়ান ট্রাভেলস নেটওয়ার্ক লি., যুব কর্মসংস্থান সোসাইটি, আখতার ফার্নিচার ও রঙ ফ্যাশন হাউস অভিনন্দনবার্তা পাঠায়।
Share this post :

Post a Comment

Test Sidebar

 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. BdNewsTest - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Blogger