প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে শান্তির মডেল উপস্থাপন করলেন

বিশ্বকে পাল্টে দিতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে 'জনগণের ক্ষমতায়ন' মডেলের রূপরেখা বিশ্বনেতাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা পালনে এই মডেল বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে তিনি বলেন, এই শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে জনগণের ক্ষমতায়ন এবং মানবিক সক্ষমতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে তাঁর সরকারের অঙ্গীকার এবং বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার মর্যাদা দিতে বিশ্বনেতাদের সমর্থনও কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরে (বাংলাদেশ সময় শনিবার রাতে) জাতিসংঘের ৬৬তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে 'আন্তর্জাতিক বিরোধ নিরসনে শান্তিপূর্ণ মধ্যস্থতা' শীর্ষক মূল প্রতিপাদ্যে বক্তব্য দিতে গিয়ে এ মডেল উপস্থাপন করেন শেখ হাসিনা। বরাবরের মতো প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেন। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বাংলায় ভাষণ দিলেন তিনি। ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটভুক্ত দলগুলোর পক্ষ থেকে জাতিসংঘ ভবনের সামনে শান্তি সমাবেশ করা হয়েছে। সেখানে বিএনপির নেতিবাচক ভূমিকার কারণে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে নেতারা অভিযোগ করেন। তাঁরা বিরোধী দলের এসব কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেন। এ সমাবেশে পূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, জাসদ নেত্রী শিরীন আক্তারসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে 'যেখানেই শেখ হাসিনা সেখানেই প্রতিবাদ কর্মসূচি'র আলোকে একই সময় বিএনপি-জামায়াত জোটের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ এই বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন।
শেখ হাসিনা তাঁর উপস্থাপিত শান্তির মডেলে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণ, বৈষম্য দূরীকরণ, বঞ্চনার লাঘব, ঝরে পড়া মানুষকে সমাজের মূলধারায় অন্তর্ভুক্তি, মানবসম্পদ উন্নয়ন ত্বরান্বিত ও সন্ত্রাসবাদের মূলোৎপাটন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এই ছয়টি পরস্পর ক্রিয়াশীল বিষয় শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সারা জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে প্রণীত এই মডেলে গণতন্ত্র এবং উন্নয়নকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সব মানুষকে সমান চোখে দেখা এবং মানবিক সামর্থ্য উন্নয়নের কাজে লাগানোকে তাঁর মডেলের মূল বিষয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, একমাত্র শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই এসব বাস্তবায়ন এবং সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব।
এ লক্ষ্যে প্রতিটি রাষ্ট্রকে আন্তরিকভাবে সঠিক ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানেও এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে মত প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। শান্তিকেন্দ্রিক উন্নয়ন মডেল প্রয়োগের মাধ্যমে সাত বিলিয়ন মানুষের বিশ্বকে পাল্টে দেওয়া এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুখ-শান্তি নিশ্চিত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারের জন্য একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে তাঁর সরকার। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা ছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়_মন্তব্য করে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র আরো শক্তিশালী হবে। 'আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম সনদের অনুস্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনার ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ' বলেন তিনি। অতীত ভুলের সংশোধনের এটিই একমাত্র পথ এবং এর মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য সুসংহত হবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের ব্যাপারে নিজের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, 'আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্ত্রাসের শিকার।' এ প্রসঙ্গে তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি নাইন-ইলেভেনসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী হামলার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিচারের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, 'শান্তির জন্য ন্যায়বিচার প্রয়োজন, আর শান্তি হচ্ছে উন্নয়নের পূর্বশর্ত।'
১৯৬৪ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত অন্যায্য কর্মকাণ্ডে বিশ্বে পাঁচ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের প্রাণ হারানোর কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা জোরদার করার মাধ্যমে এ ধরনের অপমৃত্যু রোধ করা যেত।
আন্তর্জাতিক শান্তি এবং নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি আন্তরাষ্ট্র জাতিগত সংঘাত নিরসন, সন্ত্রাসবাদ দমন, আন্তসীমানা অপরাধ দমন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবিলা, দারিদ্র্য বিমোচন, পানি ও জ্বালানি নিরাপত্তা তৈরি এবং ধনী ও গরিবের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বৈষম্য বিলোপ করাও জাতিসংঘের কাজ বলে মত প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্বের প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে উল্লেখ করে বাংলাকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে গ্রহণ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের আবেদনের প্রতি সবার সমর্থন কামনা করেন শেখ হাসিনা। বিশ্বের শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে ৩৬টি দেশের ৫২টি মিশনে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত লক্ষাধিক শান্তিরক্ষী পাঠিয়েছে।
জাতিসংঘের শান্তি স্থাপন কমিশনে 'ন্যাম'-এর সমন্বয়কারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সব সময়ই সংঘাত-পরবর্তী সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা, উন্নয়ন এবং প্রতিকারমূলক কূটনীতির পক্ষে অভিমত দিয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তবে 'দ্য রোল অব দ্য ডিপার্টমেন্ট অব পিস কিপিং মিশন' (ডিপিকেও)-তে পরিকল্পনা এবং কৌশল প্রণয়নে বাংলাদেশের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের কৌশল সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে মিল রেখে প্রণয়ন করা হয়েছে_মন্তব্য করে ২০১৫ সালের মধ্যে দেশের ১২ মিলিয়ন মানুষকে দারিদ্র্যের কশাঘাত থেকে মুক্ত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নারীর ক্ষমতায়নে তাঁর সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার প্রণীত নারী নীতিমালায় নারীর ক্ষমতায়ন, সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ, তাদের সুরক্ষা এবং জেন্ডার সমতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতি এবং বিভিন্ন সেক্টরে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জাতীয় সংসদে ৬৪ জন এবং স্থানীয় সরকার পরিষদের সংরক্ষিত আসনে ১২ হাজার ৮২৮ জন নারী নির্বাচিত হয়েছেন।
মন্ত্রিসভায় পাঁচজন নারী সদস্যের এবং জাতীয় সংসদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দুজন নারী চেয়ারপারসনের অন্তর্ভুক্তির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, 'আমি নিজে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বিরোধী দলের নেতা, সংসদ উপনেতা এবং জাতীয় সংসদের একজন হুইপ নারী।'
বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সব সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানে সরকারের দৃঢ়সংকল্পের কথা ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার কথা পুনর্ব্যক্ত করে এ লক্ষ্যে তাঁর সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা বিশ্বনেতাদের অবহিত করেন। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের এসব উদ্যোগ সফল করতে এবং জনগণের আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সহায়তা কামনা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, 'উন্নত বিশ্বের বাজারে আমাদের পণ্যের অবাধ প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি, বাণিজ্য বাধা অপসারণ, বৈদেশিক সাহায্যের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবিলায় সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে এসব সহায়তা আসতে পারে।'
গত মে মাসে ইস্তাম্বুলে কৃষি, জ্বালানি অবকাঠামো, পানি, অভিবাসন বিষয়ে যেসব অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে সেগুলোর বাস্তবায়ন স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। দোহা রাউন্ডের সফল সমাপ্তির জন্য মন্তারাই, প্যারিস ও ব্রাসেলসে উন্নয়ন সহযোগীরা যেসব অঙ্গীকার করেছে, তা বাস্তবায়নের এখনই উপযুক্ত সময় বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বিপর্যয়ের কথাও প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনেতাদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, 'বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এক মিটার বৃদ্ধি পেলে আমাদের এক-পঞ্চমাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যাবে। এতে ৩০ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়বে এবং এটা হবে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহতম মানবিক বিপর্যয়।'
ভবিষ্যৎ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের উদ্যোগের কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার নিজস্ব অর্থায়নে ৩০০ মিলিয়ন ইউএস ডলারের ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড এবং দাতাদের সহযোগিতায় ১০০ মিলিয়ন ইউএস ডলারের ক্লাইমেট চেঞ্জ রেজিলিয়ান্স ফান্ড প্রতিষ্ঠা করেছে। পাশাপাশি সরকার ১৩৪ দফা অ্যাডাপটেশন অ্যান্ড মাইগ্রেশন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, যার আওতায় নদী খনন, ২০ শতাংশ ভূমির বনায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সক্ষম ফসলের জাত উদ্ভাবনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অর্ধশতাব্দী ধরে নিজের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা এবং নিজেকে শান্তির পক্ষের একজন নির্ভীক যোদ্ধা দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, 'অসাম্য, অর্থনৈতিক বৈষম্য, বঞ্চনা, দারিদ্র্য, সাম্প্রদায়িকতা, নারী ও ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর অধিকারহীনতা এবং সরকারি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব মানুষের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে কাজ করে।'
প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনের সভাপতি জোসেফ ডেইসকে এবং এ বছর সাধারণ অধিবেশনের মূল প্রতিপাদ্য 'আন্তর্জাতিক বিরোধ নিরসনে শান্তিপূর্ণ মধ্যস্থতা' শীর্ষক সময়োচিত প্রতিপাদ্য নির্বাচনের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনকে ধন্যবাদ জানান। এ ছাড়া তিনি বিশ্ব মানচিত্রে স্থান পাওয়া নতুন রাষ্ট্র দক্ষিণ সুদান জাতিসংঘের ১৯৩তম সদস্য হওয়ায় সুদানের জনগণকে অভিনন্দন জানান।
সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, অ্যাম্বাসাডর-এট-লার্জ জিয়াউদ্দিন প্রমুখ।
Share this post :

Post a Comment

Test Sidebar

 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. BdNewsTest - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Blogger