দেশে খাদ্যদ্রব্যের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া টিসিবি কার্যকর না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তা কার্যকর করতে বাণিজ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে তিনি এসব নির্দেশনা দেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সূত্রে জানা যায়, ঋণ পরিশোধের তাড়া না থাকায় মিল মালিকদের চাল মজুদ রাখার কারণে চালের দাম বাড়ছে বলে বৈঠকে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি মূল্যবৃদ্ধি ঠেকানোর জন্য চালকল মালিকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি চালকল মালিকদের দীর্ঘমেয়াদি ঋণ না দেওয়ার এবং ঋণের পরিমাণ কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন ব্যাংকগুলোকে।
সূত্র মতে, বৈঠকে শেখ হাসিনা খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের উদ্দেশে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ছে বলে চুপ থাকলে চলবে না, মানুষকে বাঁচাতে হবে। তিনি মন্ত্রীকে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বিস্তৃত করার নির্দেশ দেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে। বৈঠকে বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানির বিষয়েও আলোচনা করা হয়। এ ছাড়া চালসহ খাদ্যদ্রব্য পরিবহন ব্যবস্থা ঠিক রাখতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রীর ওপর ক্ষোভ : সূত্রে জানা যায়, বারবার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও টিসিবি যথাযথভাবে কার্যকর না হওয়ায় বাণিজ্যমন্ত্রীর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজমন্ত্রী টিসিবিকে কার্যকর করতে তাঁর মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন, ‘কী করা হয়েছে, তা জানতে চাই না, আমি শক্তিশালী টিসিবি দেখতে চাই।’
ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য নিয়ে আলোচনা : জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদেরের একটি বক্তব্য নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। ওবায়দুল কাদের গত শনিবার বলেছিলেন, ‘মধুচন্দ্রিমাকাল শেষ, সরকারের সামনে এখন কঠিন চ্যালেঞ্জ।’ সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম এবং স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন। তাঁরা বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সরকারের বিরুদ্ধে এসব বক্তব্য সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। তবে প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ভবঘুরে ও গৃহহীন (পুনর্বাসন) আইনের খসড়া অনুমোদন : ভবঘুরে ও বাস্তুহারা লোকদের আশ্রয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মন্ত্রিসভা ভবঘুরে ও গৃহহীন (পুনর্বাসন) আইন-২০১০-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আবুল কালাম আজাদ জানান, মন্ত্রিসভা বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মধ্যে স্বাক্ষরের অপেক্ষায় থাকা দ্বৈতকর পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধবিষয়ক চুক্তি অনুমোদন করেছে।
এ ছাড়াও বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে সংস্কৃতি, শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা চুক্তি সইয়ের প্রস্তাব এবং বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিশ্ব সংস্কৃতির সঙ্গে বাংলাদেশের সংস্কৃতির মেলবন্ধনের জন্য ৩৮ দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের এ ধরনের চুক্তি রয়েছে। সোমবার ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসবেন এবং দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে সংস্কৃতি, শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা চুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। পরের দিন এ চুক্তিটি সই হবে।
বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর দক্ষিণ কোরিয়া সফর, এশীয় সহযোগিতা সংলাপের (এসিডি) ৯ম মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণ, ব্যাংককে অনুষ্ঠিত এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য সংলাপের তৃতীয় বৈঠক এবং দিল্লিতে আন্তর্জাতিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্মেলন বিষয়ে চারটি প্রতিবেদন মন্ত্রিসভা বৈঠকে পেশ করা হয়।
সূত্র মতে, বৈঠকে শেখ হাসিনা খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের উদ্দেশে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ছে বলে চুপ থাকলে চলবে না, মানুষকে বাঁচাতে হবে। তিনি মন্ত্রীকে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বিস্তৃত করার নির্দেশ দেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে। বৈঠকে বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানির বিষয়েও আলোচনা করা হয়। এ ছাড়া চালসহ খাদ্যদ্রব্য পরিবহন ব্যবস্থা ঠিক রাখতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রীর ওপর ক্ষোভ : সূত্রে জানা যায়, বারবার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও টিসিবি যথাযথভাবে কার্যকর না হওয়ায় বাণিজ্যমন্ত্রীর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজমন্ত্রী টিসিবিকে কার্যকর করতে তাঁর মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন, ‘কী করা হয়েছে, তা জানতে চাই না, আমি শক্তিশালী টিসিবি দেখতে চাই।’
ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য নিয়ে আলোচনা : জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদেরের একটি বক্তব্য নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। ওবায়দুল কাদের গত শনিবার বলেছিলেন, ‘মধুচন্দ্রিমাকাল শেষ, সরকারের সামনে এখন কঠিন চ্যালেঞ্জ।’ সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম এবং স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন। তাঁরা বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সরকারের বিরুদ্ধে এসব বক্তব্য সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। তবে প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ভবঘুরে ও গৃহহীন (পুনর্বাসন) আইনের খসড়া অনুমোদন : ভবঘুরে ও বাস্তুহারা লোকদের আশ্রয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মন্ত্রিসভা ভবঘুরে ও গৃহহীন (পুনর্বাসন) আইন-২০১০-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আবুল কালাম আজাদ জানান, মন্ত্রিসভা বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মধ্যে স্বাক্ষরের অপেক্ষায় থাকা দ্বৈতকর পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধবিষয়ক চুক্তি অনুমোদন করেছে।
এ ছাড়াও বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে সংস্কৃতি, শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা চুক্তি সইয়ের প্রস্তাব এবং বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিশ্ব সংস্কৃতির সঙ্গে বাংলাদেশের সংস্কৃতির মেলবন্ধনের জন্য ৩৮ দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের এ ধরনের চুক্তি রয়েছে। সোমবার ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসবেন এবং দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে সংস্কৃতি, শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা চুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। পরের দিন এ চুক্তিটি সই হবে।
বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর দক্ষিণ কোরিয়া সফর, এশীয় সহযোগিতা সংলাপের (এসিডি) ৯ম মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণ, ব্যাংককে অনুষ্ঠিত এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য সংলাপের তৃতীয় বৈঠক এবং দিল্লিতে আন্তর্জাতিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্মেলন বিষয়ে চারটি প্রতিবেদন মন্ত্রিসভা বৈঠকে পেশ করা হয়।
Post a Comment