যুক্তরাষ্ট্রের 'দখলদার' শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানালেন ইরাকের কট্টরপন্থী শিয়া ধর্মীয় নেতা মুকদাতা আল সদর। গতকাল শনিবার নিজ শহর নাজাফে দেওয়া ভাষণে এ আহ্বান জানান তিনি। গত বুধবার দেশে ফেরার পর এটাই তাঁর প্রথম ভাষণ।
সমর্থকদের উদ্দেশে মুকতাদা বলেন, 'আমরা এখনো দখলদারদের প্রতিরোধ করে যাচ্ছি। সামরিক ও অন্য সব উপায়ে প্রতিরোধ করছি তাদের।' তাঁর ভাষণ শোনার জন্য গতকাল নাজাফে জড়ো হয়েছিল ১০ হাজারের বেশি মানুষ। তাদের সবার হাতে ছিল ইরাকি পতাকা ও সদরের ছবি।
মুকতাদা ২০০৬ সালের শেষের দিকে ইরানে পালিয়ে যান। সেখানে চার বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসনের পর গত বুধবার তিনি ইরাকে ফিরে আসেন। মুকতাদা বলেন, 'ইরাক কঠিন সময় পার করছে। ইরাকের এ পরিস্থিতিতে আমাদের শত্রু আমেরিকা, ইসরায়েল ও ব্রিটেনই খুশি হয়েছে। কাজেই সবাই আমেরিকাকে না বলুন।' তিনি বলেন, 'আপনারা কি আমেরিকাকে ভয় পান?' জবাবে সমর্থকরা 'আমেরিকা নয়, ইসরায়েল নয়' বলে প্রত্যুত্তর দেয়। ইরাকি বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য দেশটিতে বর্তমানে ৫০ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এসব সেনা প্রত্যাহার করার কথা ওয়াশিংটনের। তিনি আমেরিকার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'কোনো ইরাকিকে আমরা আঘাত করব না। দখলদাররাই আমাদের লক্ষ্য।' তিনি বলেন, 'ইরাকের ঐক্য ধরে রাখার জন্য আমার সঙ্গে বলুন, ইরাকের জন্য, দেশের শান্তির জন্য এবং ঐক্যের জন্য হ্যাঁ। ঐক্যের মাধ্যমে আমরা ইরাকিদের ভোগান্তি দূর করতে চাই।
ইরাকের নতুন সরকারে মুকতাদার দল গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছে। পার্লামেন্টে ৩৯টি আসন রয়েছে তাঁর দলের এবং পাশাপাশি সাতটি মন্ত্রণালয়ে নিজেদের অবস্থান পাকা করেছে তারা। আগের সব ভুল শুধরাতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার এবং নতুন সরকারকে সাহায্য করার জন্য আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন সরকার দেশের জনগণের জন্য কাজ করছে_এটি প্রমাণের রাস্তা করে দেওয়া হোক।
ইরাকে ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী অভিযান চালানোর পর মুকতাদার জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাঁর জঙ্গি দল মাহাদি আর্মির সংঘর্ষ হয় বেশ কয়েকবার। ২০০৬ সালে পেন্টাগন মুকতাদাকে ইরাকের স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি বলে উল্লেখ করে। এরপর তিনি
দেশ ছেড়ে ইরানে পালিয়ে যান।
সূত্র : বিবিসি ও এএফপি।
মুকতাদা ২০০৬ সালের শেষের দিকে ইরানে পালিয়ে যান। সেখানে চার বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসনের পর গত বুধবার তিনি ইরাকে ফিরে আসেন। মুকতাদা বলেন, 'ইরাক কঠিন সময় পার করছে। ইরাকের এ পরিস্থিতিতে আমাদের শত্রু আমেরিকা, ইসরায়েল ও ব্রিটেনই খুশি হয়েছে। কাজেই সবাই আমেরিকাকে না বলুন।' তিনি বলেন, 'আপনারা কি আমেরিকাকে ভয় পান?' জবাবে সমর্থকরা 'আমেরিকা নয়, ইসরায়েল নয়' বলে প্রত্যুত্তর দেয়। ইরাকি বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য দেশটিতে বর্তমানে ৫০ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এসব সেনা প্রত্যাহার করার কথা ওয়াশিংটনের। তিনি আমেরিকার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'কোনো ইরাকিকে আমরা আঘাত করব না। দখলদাররাই আমাদের লক্ষ্য।' তিনি বলেন, 'ইরাকের ঐক্য ধরে রাখার জন্য আমার সঙ্গে বলুন, ইরাকের জন্য, দেশের শান্তির জন্য এবং ঐক্যের জন্য হ্যাঁ। ঐক্যের মাধ্যমে আমরা ইরাকিদের ভোগান্তি দূর করতে চাই।
ইরাকের নতুন সরকারে মুকতাদার দল গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছে। পার্লামেন্টে ৩৯টি আসন রয়েছে তাঁর দলের এবং পাশাপাশি সাতটি মন্ত্রণালয়ে নিজেদের অবস্থান পাকা করেছে তারা। আগের সব ভুল শুধরাতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার এবং নতুন সরকারকে সাহায্য করার জন্য আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন সরকার দেশের জনগণের জন্য কাজ করছে_এটি প্রমাণের রাস্তা করে দেওয়া হোক।
ইরাকে ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী অভিযান চালানোর পর মুকতাদার জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাঁর জঙ্গি দল মাহাদি আর্মির সংঘর্ষ হয় বেশ কয়েকবার। ২০০৬ সালে পেন্টাগন মুকতাদাকে ইরাকের স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি বলে উল্লেখ করে। এরপর তিনি
দেশ ছেড়ে ইরানে পালিয়ে যান।
সূত্র : বিবিসি ও এএফপি।
Post a Comment