চলতি বছর বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে ৪.৪ শতাংশ

বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থা এখন আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। তবে ইউরোপের দেশগুলোয় অর্থনৈতিক সংকট ঘনীভূত হওয়ায় ঝুঁকি রয়েই গেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) গতকাল তাদের নতুন পূর্বাভাসে এ আশঙ্কাই ব্যক্ত করেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে সংস্থাটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের এক বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। আইএমএফের পূর্বাভাস প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশগুলোর বর্তমান অবস্থা সন্তোষজনক। কিন্তু উন্নত দেশগুলোয় কর্মসংস্থানহীনতার উচ্চ হার এবং ইউরোপীয় অঞ্চলের অর্থ সংকটের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি এখনো আশঙ্কামুক্ত নয়।
প্রতিবেদনে আইএমএফ জানায়, চলতি বছর বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে ৪.৪ শতাংশ। এর আগে সংস্থাটি গত বছরের অক্টোবরে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.২ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া অর্থ সংস্কারের নতুন পদক্ষেপ চলতি বছরের দ্বিতীয় অর্ধে (জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত) অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি আরো বাড়িয়ে দেবে বলে আইএমএফ মনে করছে।
প্রতিবেদনে আইএমএফ পূর্বাভাস দেয়, ২০১১ ও ১২ সালে উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি ২.৫ শতাংশ করে হবে। এতে চলতি বছর ও আগামী বছরে যুক্তরাষ্ট্রে যথাক্রমে ৩ ও ২.৭ শতাংশ, জাপানে ১.৬ ও ১.৮ শতাংশ, ইউরো অঞ্চলে ১.৫ ও ১.৭ শতাংশ, জার্মানিতে ২.২ ও ২ শতাংশ, ইতালিতে ১ ও ১.৩ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়।
অন্যদিকে আইএমএফের নতুন পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্ধনশীল ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি উভয় বছরেই ৬.৫ শতাংশ করে হবে। ২০১১ ও ২০১২ উভয় বছরেই এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি হবে যথাক্রমে ৮.৪ শতাংশ করে। আর এ দুই বছরে লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ৪.৩ শতাংশ ও ৪.১ শতাংশ হারে এবং মধ্য ও পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ৩.৬ শতাংশ ও ৪ শতাংশ হারে হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়।
পূর্বাভাস প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০১০ ও '১২ সালে প্রবৃদ্ধির দিক থেকে উন্নয়নশীল এশিয়ার দেশ ভারত ও চীনের প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি হবে। এর মধ্যে ভারতের প্রবৃদ্ধি যতাক্রমে ৮.৪ ও ৮ শতাংশ হারে এবং চীনের প্রবৃদ্ধি ৯.৬ ও ৯.৫ শতাংশ হারে হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়।
এ ছাড়া প্রতিবেদনে আইএমএফ জানায়, চলতি বছরেও বিশ্বব্যাপী দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ধারা অব্যাহত থাকবে। এ সময় আবহাওয়াজনিত কারণে কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্রব্যের সরবরাহ কমে যাওয়ার ফলে মূল্যজনিত 'ধাক্কা' খেতে পারে বিশ্ব অর্থনীতি। আর তেলের মূল্য ব্যারেলপ্রতি ৯০ ডলারের কাছাকাছি হতে পারে।
এর আগে গত বছরে অক্টোবরে আইএমএফ চলতি বছর ব্যারেলপ্রতি তেলের মূল্য ৭৯ ডলার করে হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল। এএফপি।
Share this post :

Post a Comment

Test Sidebar

 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. BdNewsTest - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Blogger