বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার ধ্বংসের জন্য একশ্রেণীর অসাধু আদম বেপারি উঠেপড়ে লেগেছে। বিগত সব সরকারের সময় বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত শ্রমবাজার ধ্বংসের জন্য ওইসব অসাধু আদম বেপারি দেশে সমান্তরাল সরকারব্যবস্থা চালু করেছিল।
এতে মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরব, কুয়েতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এর সঙ্গে মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীও জড়িত। বাংলাদেশের অভিবাসন ব্যয় পৃথিবীর সর্বোচ্চ। এখানে একজন শ্রমিককে বিদেশে যেতে দুই লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা খরচ করতে হয়, যা পৃথিবীর কোনো দেশে নেই। একজন সাধারণ শ্রমিকের পক্ষে এ খরচ ১০ বছরেও তুলে আনা সম্ভব হয় না। ফলে অতিরিক্ত অভিবাসন খরচ পুষিয়ে নিতে শ্রমিকরা অবৈধ ও অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে। এতে তারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভিসার মেয়াদ শেষেও অবৈধভাবে থেকে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ ছাড়াও জাল ভিসা, গলাকাটা পাসপোর্ট, টুরিস্ট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, ওমরাহ ভিসা, ভিসা অন এরাইভালসহ বিভিন্ন অসৎ পন্থায় আদম বেপারিরা বিদেশে লোক পাঠানোর ফলে বাংলাদেশের শ্রমবাজার আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। সর্বোপরি বিশ্বমন্দার প্রভাবের কথাটিও আমাদের স্মরণ রাখতে হবে।
বর্তমান শ্রমমন্ত্রী আমাদের এই ধ্বংসপ্রায় শ্রমবাজারকে পুনরুদ্ধারের প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী সংসদ অধিবেশনে মানবপাচারের বিরুদ্ধে 'এন্টি ট্রাফিকিং ল' পাশের যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। জনশক্তি রপ্তানিতে শৃংখলা ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
ডা. মো. আবদুর রহমান
চেয়ারম্যান, প্রবাসী মানবকল্যাণ ফাউন্ডেশন, বনানী, ঢাকা।
বর্তমান শ্রমমন্ত্রী আমাদের এই ধ্বংসপ্রায় শ্রমবাজারকে পুনরুদ্ধারের প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী সংসদ অধিবেশনে মানবপাচারের বিরুদ্ধে 'এন্টি ট্রাফিকিং ল' পাশের যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। জনশক্তি রপ্তানিতে শৃংখলা ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
ডা. মো. আবদুর রহমান
চেয়ারম্যান, প্রবাসী মানবকল্যাণ ফাউন্ডেশন, বনানী, ঢাকা।
Post a Comment